২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৪৬

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় সফট ড্রিংকস

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ছোটো বড় সবারই পছন্দের পানীয় হচ্ছে সফট ড্রিংকস। একটু রিচ ফুড অথবা ফাস্ট ফুড খাওয়ার পর একটু সফট ড্রিংকস না খেলে যেন খাবারে তৃপ্তিই আসে না। খুব মজার একটি পানীয় সফট ড্রিংকস। এটি খেতে যেমন মজাদার ঠিক ততটাই ক্ষতিকর। সফট ড্রিংকস্ বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস। তাই সফট ড্রিংকস্ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। এব্যাপারে  গবেষকরা বলেছেন, দৈনিক এক বা একাধিক ক্যান সফট্ ড্রিংকস্ অর্থাৎ মিষ্টি হালকা পানীয় পান শেষ বয়সে একজন লোকের ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দিনে এক ক্যান সফট্ ড্রিংকস পান টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি মাসে এক ক্যান ড্রিংকস পানের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করে। একটি ডায়াবেটিস চ্যারিটি সুগারপূর্ণ খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ সীমিতকরণের সুপারিশ করেছে- কারণ এগুলোতে ক্যালোরি বেশি এবং এগুলো ওজন বৃদ্ধি করে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য জার্মানী, ডেনমার্ক, ইতালী, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডে গবেষণা চালানো হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোককে তাদের খাবারের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। খাবর ও ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ের লক্ষ্যে একটি ব্যাপক ভিত্তিক ইওরোপীয় সমীক্ষার অংশ হিসেবে এটা করা হয়। লন্ডনের ইমপিরিয়েল কলেজ-এর গবেষক ডোরা রোমা-গুয়েরা বলেন, চিনিমিশ্রিত হালকা পানীয় আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-তাই হালকা পানীয়র প্রতিটি ক্যান, যা আপনি প্রতিদিন পান করেন, এতে ঝুঁকি বাড়ে।’ তিনি মিষ্টি হালকা পানীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট গণস্বাস্থ্য তথ্যের আহবান জানান।

মিষ্টি কোমল পানীয় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। ড: রমাগুয়েরা ও তার সহ-গবেষকরা এই বলে তাদের গবেষণা পত্রের উপসংহার টেনেছেন, যেহেতু ইওরোপে মিষ্টি পানীয় গ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জনগণকে জানানো দরকার।’ গবেষকদের মতে, ফলের রস পান ডায়াবেটিসের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। দেহের ওজন কম বেশি নির্বিশেষে মিষ্টি কোমল পানীয়র সাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। এতে প্রতীয়মান বর্ধিত ঝুঁকি শুধুমাত্র অতিরিক্ত ক্যালোরির কারণেই নয়। পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক উলফে বলেন, যুক্তরাজ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বয়স্ক জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ৪ ভাগ। আর যেহেতু মিষ্টি কোমল পানীয় খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এটা দূর করা সম্ভব, তাই এটা করাই উত্তম।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭ ২:১৭ অপরাহ্ণ