২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৫৫

বিতর্কিত ডোকলামের কাছে ফের রাস্তা বানাচ্ছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিতর্কিত ডোকলাম অঞ্চলের কাছেই ফের একাধিক রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু করেছে চীন। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে এমনটিই দাবি করা হয়েছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে। গত দু’মাস ধরে ওই কাজ চলছে। তবে এ নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে এই ডোকলাম নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে সম্পর্ক তলানীতে এসে পৌছায়। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন তাহলে আবারো কী দুইদেশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এনডিটিভি’র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দিন পাঁচেক আগে ওই স্যাটেলাইট ছবিগুলো তোলা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, যে রাস্তাগুলো চওড়া করার কাজ করছে চীন, তার মধ্যে একটি রাস্তা রয়েছে পূর্ব সিকিমের কাছে ডোকলাম থেকে মাত্র সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে। ডোকলামে ভারতীয় সেনা চৌকির থেকে যার দূরত্ব খুব বেশি নয়। ওই রাস্তাটি প্রায় এক কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছে। অন্য একটি রাস্তা রয়েছে ডোকলামের পূর্বে সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। ১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তাটি এগিয়ে গিয়েছে ডোকলামের উত্তরাঞ্চলের দিকে। এর আগে অক্টোবরেই সিনচে পাসের কাছে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা গড়ার কাজ করেছিল চীন। গত ১৩ মাসের স্যাটেলাইট ছবিগুলো খতিয়ে দেখা গেছে, মাস দুয়েক ধরেই ডোকলামের অদূরে এ ভাবে রাস্তা চওড়া করার কাজ করে চলেছে চীন। ছবিগুলো থেকে জানা গেছে, এ বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারির পরে ওই কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত দু’টি রাস্তা চওড়া করা হয়েছে ১৭ অক্টোবর থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।
ভারত, চীন ও ভুটান সীমান্তে ডোকলাম মালভূমিকে নিজের দেশের অংশ বলে মনে করে ভুটান। ভুটানের এই দাবিকে মেনেও নিয়েছে ভারত। অথচ চীনের দাবি, ডোকলাম মালভূমি তাদের দেশের অংশ। চলতি বছরের জুনে ওই অঞ্চলে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে চীন। তাতে আপত্তি জানায় ভারত। সিকিম পেরিয়ে শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন’স নেক-এর  কাছে ডোকলামে পৌঁছে যায় ভারতীয় সেনা। অপরদিকে হাজির হন চীনা সেনারাও। এ ভাবে প্রায় আড়াই মাস ধরে ডোকলামে মুখোমুখি হয় ভারত ও চীনের সেনা।
১৯৬২’র ভারত-চীন যুদ্ধের পর সেই প্রথম এভাবে পরস্পরের মুখোমুখি হয় দু’দেশের সেনাবাহিনী। এরই পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে শুরু হয় দাবি-পাল্টা দাবির লড়াই। এরপর চলতি বছরের আগস্টের শেষে ব্রিকস সম্মেলনের আগে ওই অচলাবস্থা কাটে। দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্বই ডোকলাম থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়। একে কূটনৈতিক স্তরে সাফল্য হিসেবেই দেখা হয়। সীমান্ত নিয়ে বোঝাপড়ার জন্য আলোচনাই সেরা উপায় মেনে নেয় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭ ২:০৬ অপরাহ্ণ