নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আকায়েদ উল্লাহ আমেরিকায় গিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশের পুলিশ। দেশটির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, আকায়েদ আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ। জিরো টলারেন্সের দেশে একজন নাগরিকের এমন কর্মকাণ্ড দুশ্চিন্তার বিষয়ও। তাই ঘটনাটি আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মনিরুল ইসলাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১১ সালে আকায়েদ পরিবারের সাথে আমেরিকায় যান। সে সময় তিনি ঢাকা সিটি কলেজের বিবিএ’র ছাত্র ছিলেন। দেশে থাকার সময় তার সম্পর্কে আমাদের ভান্ডারে ক্রিমিন্যাল কোনো রেকর্ড নেই। ধারণা করছি আমেরিকা গেয়েই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
তিনি বলেন, দেশে আসার পর তিনি জঙ্গিবাদে জড়িত এমন কারোর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য সোমবার সকালে স্থানীয় সময় সোয়া ৭টার দিকে নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে পোর্ট অথরিটি টার্মিনাল স্টেশনের ভূগর্ভস্থ পথে বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েদ। এতে তিনিসহ তিন পুলিশ আহত হন। বাংলাদেশি এই যুবক কথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস’র আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
আহত অবস্থায় আটক হওয়ার পর হাসপাতালে আকায়েদ বলেন, ‘তারা আমার দেশে বোমা বিস্ফোরণ করছে, তাই আমি এখানে হামলা করতে চেয়েছি।’ চট্টগ্রাম জেলার আকায়েদ ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানকার ব্রুকলিনে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকেন। দীর্ঘদিন তিনি ক্যাবগাড়ি চালাতেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ইন্টারনেটে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’র বিভিন্ন প্রচারপত্র দেখে উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকতে থাকেন আকায়েদ। এখন তিনি এ হামলা করেছেন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ থেকে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ