নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযোগে মামলার পর ১০ বছরের এক শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১০ বছরের শিশু ধর্ষণ করতে পারে কি না-এই প্রশ্নের মধ্যেই শিশুটিকে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শিশুটির কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টাও করছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে ওই শিশুটির বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর মামলাটির সত্যতা তদন্তের আগেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে ধরে নিয়ে আসে শিশুটিকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের একটি গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশুটি একই এলাকার সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে নদীর তীরে নিয়ে যায়। এসময় ওই শিশুকে একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ করা হয় মামলায়।
সাড়ে চার বছর বয়সী শিশুটির মা জানান, তার সন্তান বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তাকে জানায়। এরপর শুক্রবার বিকালে মা বাদী হয়ে মঠবাড়ীয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে ১০ বছর বয়সী শিশুটির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পুলিশ শিশুটিকে ধরে নিয়ে আসে।
এদিকে গ্রেপ্তার শিশুটির স্বজনদের দাবি, এই মামলাটি সত্য নয়। তাদের পরিবারের অসম্মান করতেই এমন মামলা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটিতে তারা হাজতে রেখেছেন। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে এবং তখন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওসি বলেন, ‘আমরা ১০ বছরের একটা শিশুর সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা দরকার, সেভাবেই করছি আমরা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালত তার বয়স বিবেচনা করবে।
১০ বছরের শিশুর পক্ষে ধর্ষণ করা সম্ভব কি না- জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটি শিশু নির্যাতনের মধ্যে পড়ে এবং সে হিসাবে মামলাটি নেয়া হয়েছে এবং এটা সত্য কি মিথ্যা সেটা আদালত বুঝবে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম