আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
‘আকাশপথ নিরাপত্তা-২০১৭’ শিরোনামে বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে ছয় দিনব্যাপী রাশিয়া-চীন বিমানবাহিনীর মহড়া। আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার এ সামরিক মহড়া গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। এই মহড়া দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও কৌশলগত নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়।
রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যৌথ সামরিক মহড়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকৌশল রপ্ত করবেন চীন ও রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সেনারা। এসবের মধ্যে থাকছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অভিযান পরিকল্পনার নকশা তৈরি, যৌথ গোলাবারুদ সরবরাহ, উভয় দেশের ভূখণ্ডে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য আঘাত ঠেকানোর কৌশল প্রদর্শন। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করে তোলাসহ রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক জোরদার করতে চলমান বিমান মহড়ার আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এ-সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
৮ ডিসেম্বর মস্কোয় রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যাঙ্গ উওখিআর সঙ্গে বৈঠক করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বের সামরিক খাতে চীন-রাশিয়ার সমন্বিত কৌশলগত সম্পর্ক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটি উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তাঁরা। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চীন ও রাশিয়া উভয় দেশই বৈশ্বিক বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা করছে এবং পারস্পরিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখতে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে।
খবরে বলা হয়, তৃতীয় কোনো দেশকে উসকানি দিতে এই বিমান মহড়ার আয়োজন করেনি রাশিয়া ও চীন। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিমত্তা বৃদ্ধি ও সহযোগিতা বাড়াতে এই সামরিক মহড়া চলছে। এর আগেও প্রযুক্তিনির্ভর এই ধরনের বিমান মহড়ার আয়োজন করে চীন-রাশিয়া। রুশ সশস্ত্র বাহিনীর কেন্দ্রীয় গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ২০১৬ সালে প্রথম ‘আকাশপথ নিরাপত্তা মহড়া’ হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি