স্পোর্টস ডেস্ক:
দোকানদারের পাওনা পরিশোধ করছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তারই জেরে পাওনাদাররা প্রায় মাসখানেক ধরে আটকে রেখেছেন বাফুফের কোচ শুক্কুর মোহাম্মদ টোটামকে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলের ক্যাম্পে।
গত ১২ অক্টোবর গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল ক্যাম্প। ২৫ জন ফুটবলারকে নিয়ে ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন চার কোচ। তারা হলেন- টোটাম, পারভেজ বাবু, পলো ও আলম বাবু। কোচ চারজন হলেও ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন টোটাম।
প্রতিদিনের বাজারসহ আনুষঙ্গিক খরচ হতো টোটামের হাত দিয়ে। বাফুফে নিয়মিত টাকা না পাঠানোয় দোকানে বাকি পড়েছিল। মাসখানেক ক্যাম্প চলার পর খেলোয়াড়দের পরীক্ষার জন্য ক্যাম্প স্থগিত করা হয়। ক্যাম্পের সবাই ফিরে এলেও টোটাম আসতে পারেননি। পাওনাদাররা টাকা না পেয়ে টোটামকে ছাড়তে রাজি হয়নি। টাকার জন্য পাওনাদাররা বাফুফেতে ধরনা দিলেও কেউ গা করেননি।
সোমবার ঢাকা থেকে টাকা পাঠানোর কথা ছিল। এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে সিলেট বিকেএসপিতেও ক্যাম্প চালিয়ে বাজারের টাকা বাকি রেখে রাতের আঁধারে কোচরা ঢাকা আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রায় আড়াই লাখ টাকা বাকি পড়েছিল সেসময়। প্রায় এক যুগ ধরে পাওনা টাকার জন্য ঘুরছেন ক্যাম্প কমান্ডার সাদেক।
সাভার বিকেএসপিতে জাতীয় দলের ক্যাম্প চালিয়ে আড়াই লাখ টাকা পাওনাদার হয়েছিলেন সাদেক। সেই টাকা আজ পর্যন্ত পাননি এই পাওনাদার।
সাদেকের কথায়, আমি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীদের দুয়ারে দুয়ারে অনেক ঘুরেছি। কিন্তু আমার টাকা আজও পাইনি। টাকার অভাবে আমার স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমার সংসার চলে না। তারপরও বাফুফে কর্মকর্তাদের বিবেক নাড়া দেয় না। ফিফা ও এএফসি থেকে কোটি কোটি টাকা আসে এবং তা কোন খাতে খরচ হয়, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি, দুর্নীতিবাজদের খুঁজতে দুদকের বাফুফেতে আসা উচিত।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ