২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১৩

গুণে ভরপুর সজনে পাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সজনে বাংলাদেশে বহুল পরিচিত পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টিবিজ্ঞানে সজনেকে বলা হয় নিউট্রিশাস সুপার ফুড। গাছকে বলা হয় মিরাকল গাছ। সজনের পাতা, ডাটা, ছাল সবকিছুই মানুষের জন্য উপকারী। সজনে পাতায় রয়েছে কমলা লেবু কিংবা লেবু থেকে ৭গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের থেকে ৪গুণ বেশি ক্যালশিয়াম এবং ডিম থেকে ২গুন বেশি প্রোটিন।

অন্ধত্ব দূরীকরণে ব্যাপক কার্যকরী সজনে পাতা। কারণ এতে গাজর থেকে ৪গুণ বেশি ‘ভিটামিন এ’ রয়েছে। সজনে পাতা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে কারণ অন্যান্য শাকের তুলনায় ২৫গুণ বেশি আয়রণ রয়েছে। এই পাতায় কলা থেকে ৩গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে।

এটি অ্যান্টিঅ্যাজিং হিসেবে কাজ করে, হার্ট ভালো রাখে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টরেল লেভেল কমায়, হজম শক্তি বাড়ায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অ্যাজমা রোগীদের জন্য বিশেষ উপকার করে এই পাতা। এক গবেষণায় দেখা যায়, তিন গ্রাম সজনে পাতা দুবেলা করে তিন সপ্তাহ খেলে অ্যাজমা রোগীরা সুস্থ থাকে।

এছাড়া শত বছর ধরে ৩০০ রোগের ওষুধ হিসেবে সজনে পাতা ব্যবহার করা হয়। সজনের বিচি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে। যা পানি বিশুদ্ধকরণে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। ময়লা পানি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সজনে বিচি শুকিয়ে গুড়া করেও ব্যবহার করা হয়। এটি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এবং যেসব মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের জন্য সজনে পাতা অত্যন্ত উপকারী।

এছাড়া এই পাতায় রয়েছে ৯২ ধরণের পুষ্টি উপাদান, ৪৬ ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ১৮ ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিড, ৮ ধরণের ইসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড। এজন্য একে বলা হয় সুপার ফুড, ন্যাচারাল মাল্টিভিটামিন এবং মিরাকল ভেজিটেবল।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১২, ২০১৭ ১২:১১ অপরাহ্ণ