নিজস্ব প্রতিবেদন
ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন করেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন করে।
এর আগে সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল নোমান লিখিত বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা, ওয়ার্ড পর্যায়ে কম মূল্যে চাল বিক্রি, ভিজিএফ, ভিজিডি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতা ও মেয়াদ বাড়ানো, কৃষি ঋণ সুদসহ মওকুফ, নতুন ঋণ প্রদান, এক বছরের জন্য খাজনা মওকুফ, ইজারা বাতিল করে জলমহালে মৎস্য আহরণের সুযোগ, হাওরের বাঁধ নির্মাণে লুটপাট, দুর্নীতি অনিয়মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হাওর উন্নয়নে পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
তিনি বলেন, “আমরা চাইপ্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা যেন পালন করেন। এই সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব সরকার এবং সরকার প্রধানের।
“তার কী করণীয় ছিল, কী করেছেন আপনারা দেখেছেন। তবুও তিনি যে ওয়াদা করে গেছেন, সেগুলো কিন্তু এখনও খাতায় লেখা আছে, গোয়ালে নাই।”
কোনো জায়গায় সরকারের পক্ষ থেকে কাউকে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখেন নাই এবং কেউ ত্রাণ বা চাল পেয়েছেন বলে জানান নাই, অভিযোগ করেন এ বিএনপি নেতা।
হাওর এলাকায় আসতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনেক দেরিতে এসেছেন। আমরা আরও আগে আসতে চেয়েছিলাম,আমাদেরকে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।বলা হয়েছে হাওর এলাকায় গেলে সমস্যা হবে।”
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদষ্টো ফজলুল হক আছপিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিব ইসলাম হাবিব, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ পরিবেশক বিষয়ক সম্পাদক রওনকুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইজমল হোসেন ও সহ সম্পাদক নাজমুল হক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন।
পরে প্রতিনিধি দল সদর উপজেলার দেখার ও কাংলার হাওর পরিদর্শন করে।