নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের দুই কর্মী খুনের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে সনাক্ত করেছে পুলিশ। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে সন্দেহভাজন পাঁচজনের ছবি দিয়ে স্থানীয় একটি ক্যাবল নেটওয়ার্কে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
যারা ওই খুনিদের আশ্রয় দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা পুলিশ। সন্দেহভাজন খুনিরা হলেন- সনি, মাহদী, তুষার, সৌমিক ও প্রতীক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের সামনের মাঠে ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মদ আলী সাবাব (২১) ও নাহিদ আলম মাহীকে (১৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
সাবাব মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর মাহীর সরকারি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। নিহতরা ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না। তবে সাবাব সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আর সাবাবের অনুসারি ছিলেন মাহী। ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কেউ জানে না কি কারণে এবং কারা এই দু’জনকে হত্যা করেছে।
নিহত মাহীর মামা মো. আলী ইমরান শনিবার মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ডিআইজি তাদের আশ্বস্ত করেছেন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের। এই সময় পুলিশ মাহীর হাতে লেখা একটি ডায়েরি পুলিশ নিয়ে গেছে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়া থেকে বোন আসার পর নিহত মোহাম্মদ আলী সাবাবকে শনিবার হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.)- এর মাজার শরীফ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাবাবের মামা শাম্মির হাবিব চৌধুরী রবিন জানিয়েছেন, সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান শনিবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেছেন হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তাই পরিবার মামলা করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করছে।
এই জোড়া খুনের ঘটনা উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য মৌলভীবাজারে পুলিশের তিনটি এবং ডিবি’র একটি টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি সুহেল আহম্মদ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ