আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে ট্রাম্পের স্বীকৃতির দুই দিনের মাথায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একঘরে হয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সংস্থাটির ১৪ সদস্যরাষ্ট্র ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত দেন। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই জেরুজালেমের অবস্থান ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশ সময় গত বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইসরায়েলের তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি।
ঘোষণার পর থেকে রীতিমতো ফুঁসতে শুরু করে ফিলিস্তিন। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা আরব দুনিয়া। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, জেরুজালেম সমস্যা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের। জেরুজালেমকে দুই দেশের রাজধানী হিসেবেই ব্যবহার করা যেতে পারে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জেরুজালেমের ওপর নির্দিষ্ট কোনো দেশের দখলদারি বরদাস্ত করবে না।
তার পরই জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার বৈঠক ডাকে নিরাপত্তা পরিষদ। সেই বৈঠকেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, বলিভিয়া, মিশর, ইথিওপিয়া, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, সেনেগাল, সুইডেন, ইউক্রেন ও উরুগুয়ে একে একে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। আর মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে ওয়াশিংটনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। তার অভিযোগ, জাতিসংঘের এই অবস্থান ইসরায়েলের প্রতি তাদের বিতৃষ্ণার পরিচয় দিল।
নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিকোলাই ম্লাজেনভ জেরুজালেম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, ‘মার্কিন ঘোষণার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনো রকম উস্কানি দেওয়া থেকে দূরে থেকে সব পক্ষের উচিত দ্রুত আলোচনার বসা।’ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই দেশের কাছেই জেরুজালেম তাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু বলে গণ্য।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি