বিনোদন ডেস্ক:
শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে সালিশি বৈঠক বসাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। নগর কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ওই বৈঠকে তাদের সংসার রক্ষার শেষ চেষ্টা থাকবে।
সালিশের জন্য খুব শিগগিরই শাকিব খানের কাছে বিয়ের কাবিননামা চেয়ে নোটিশ পাঠাবে ডিএনসিসি। নোটিশ হাতে পৌঁছানোর পর দুই তারকার পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসবে কর্মকর্তারা।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, শাকিব খান রানার নামে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর একটি তালাকনামার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়রের সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ জানান, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যে পক্ষই নগর ভবনে তালাকনামার নোটিশ পাঠাক; তার সঙ্গে কাবিননামার কপিও সংযুক্তি পাঠাতে হয়। কিন্তু শাকিব খানের তালাকনামার নোটিশের সঙ্গে কাবিননামার কপি পাঠানো হয়নি। এখন তার কাছ থেকে কাবিননামার কপিও চাওয়া হবে। কিংবা তিনি নিজেও পাঠাতে পারেন। এরপর নগর কর্তৃপক্ষই উভয়পক্ষকে ডেকে সংসার রক্ষার জন্য সালিশ বসাবে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতি পেলে সংসার টেকানোও সম্ভব। তবে কোনোভাবেই তিন মাসের আগে তাদের তালাক কার্যকর হচ্ছে না।
একজন নগর কর্মকর্তা জানান, শাকিব খান ২২ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠালেও ডিএনসিসিতে এসেছে অনেক পরে। তবে মুসলিম নিকাহ আইনের ৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শাকিব-অপুকে নিয়ে সালিশ বসানো হবে। এক্ষেত্রে অপু বিশ্বাসকে যেহেতু তালাকের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাই তার বসবাসের এলাকা নিকেতনের মধ্যে ডিএনসিসির যে জোনাল কর্মকর্তা রয়েছেন তিনিই সালিশি বৈঠকের প্রধান হবেন। জোনাল কর্মকর্তা চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও বৈঠকে যুক্ত করতে পারবেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে শাকিব খান দাম্পত্য কলহের যেসব কারণ দেখিয়েছেন সেসব বিষয় মীংমাসার চেষ্টা করবেন সালিশকারীরা। এতে শাকিব-অপু একমত হয়ে তালাকের নোটিশ প্রত্যাহার করলেই তারা পুনরায় দাম্পত্য জীবনে ফিরতে পারবেন। এক্ষেত্রে শাকিব রাজি না হলে দ্বিতীয় মাসেও চেষ্টা করবে সালিশকারীরা। এতে কাজ না হলে তৃতীয়বারের মতো সালিশি বৈঠক বসাবে ডিএনসিসি। তবে ওই সময়সীমার মধ্যে দুজন একমত না হলে তবেই বিবাহ বিচ্ছেদ বলে গণ্য হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর