নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। শুধু নভেম্বর মাসে ১০৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ জন। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে দু’জন। তবে অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে ধর্ষণের ঘটনা কিছুটা হলেও কমেছে। অক্টোবর মাসে ১১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি পরিবর্তন ডটকমকে জানান, নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পতি করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মোট ৪২৭ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১০৭ জন। গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪ জন। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৩ জন। এছাড়া এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৮ জন। এরমধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ২৩টি। বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে ৪২ জন নারী ও কন্যা শিশুকে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪ জনকে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন। তার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৯ জনকে।
জানা গেছে, উত্ত্যক্তের শিকার ১৭ জন। তার মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৪ জন। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ৪৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্য বিবাহের চেষ্টা হয়েছে ৬০টি এবং বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে ৬ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ