নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের এমণ সমারহ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে ধান কাটাও শুরু হয়েছে। তবে অধিকাংশ ধান এখনও মাঠে রয়েছে। কদিন বাদেই মাঠে মাঠে ধান কাটা শুরু করবে কৃষকরা। তাই কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্নন উৎসবের হাওয়া বইছে। নতুন ধান ঘরে আসার সাথে সাথে পিঠা পায়েসে মেতে উঠবেন তারা। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ভোলায় এক লক্ষ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষমাত্রা থাকলেও আবাদ হয় এক লক্ষ ৭৯ হাজার হেক্টরও জমিতে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে, দৌলতখান উপজেলায় ১৬ হাজার ৫৪০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১১ হাজার ৮০০ হেক্টর, লালমোহন উপজেলায় ২৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর, চরফ্যাশন উপজেলায় ৭০ হাজার ৫৬০ হেক্টর এবং মণপুরায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।
ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে কৃষি অফিস। এছাড়া এবছর ধানের দাম মণপ্রতি গড়ে ৬ শত ৫০ টাকা থেকে ৭ শত টাকা। যা কৃষকের খরচ পুষিয়ে প্রতি ৮ শতাংশে ১ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।
জেলার মণপুরা উপজেলার চরযতিন গ্রামের আলাউদ্দিন এবং চরফ্যাশন উপজেলার নীল কমল ইউনিয়নের মহিমা বেগম এর সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতি ৮ শতাংশ জমিতে চাষ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৭ শত টাকা। প্রতি ৮ শতাংশ জমিতে ধান উৎপাদন হবে গড়ে ৪ মণ। প্রতিমণ ধান গড়ে ৬৮০ টাকা ধরে বিক্রয় করলে মোট টাকা হবে ২ হাজার ৭ শত বিশ টাকা। খরচ বাদে প্রতি ৮ শতাংশে লাভ হবে ১ হাজার ২০ টাকা।
এব্যাপারে জেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, এবার ভোলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারহ। কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে ধানকাটা শুরু হয়েছে। তবে এখনও অধিকাংশ ফসল মাঠে রয়েছে।
এবছর লক্ষ মাত্রার চেয়ে দুই হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা রয়েছে ৪ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন। তবে উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা এবছর ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ