নিজস্ব প্রতিবেদক:
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয়া ৬৬৭ কোটি টাকা ফেরত দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সোনালীর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুলের নেতৃত্বে ব্যাংকটির পর্ষদের সদস্য ও এমডি ওবায়েদউল্লাহ আল মাসুদ অংশ নেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কেটে নেয়া অর্থ ফেরতের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নীতির আলোকে ব্যাংকার্স সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব বিল পরিশোধ করা হয়েছে। প্রতিটি বিল পরিশোধে শর্ত দেয়া হয়েছে, জালিয়াতি প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। ফলে আদালত কর্তৃক কখনো জালিয়াতি প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে তা ফেরত নিয়ে সোনালী ব্যাংককে পরিশোধ করা হবে। এটি জানার পর সোনালীর পর্ষদ নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে হলমার্কের কাছে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার পাওনা রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে নন-ফান্ডেড তথা সোনালী ব্যাংকের স্বীকৃতির বিপরীতে ৪১টি ব্যাংক ২ হাজার ৩৪২টি বিলের বিপরীতে এক হাজার ৩১৪ কোটি টাকা দিয়েছে। এসব দায় তৈরি হয়েছিল মূলত পোশাক তৈরির কাজে স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল (সুতা বা কাপড়) সরবরাহের মাধ্যমে।
স্বীকৃত বিলের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহক ১২০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করলে স্বীকৃতি দাতা ব্যাংক তা পরিশোধ করবে। বেশ কয়েক দফা তাগাদার পরও সোনালী ব্যাংক তা পরিশোধ না করায় অর্থ কেটে পরিশোধের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ