নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিবাদল না হলে চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে রেকর্ড সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিবাদল না হলে এ বছর এক লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকার এডিপির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা অবধারিতভাবে অর্জিত হবে। আগে অর্থের অভাব ছিল। এখন সেটা নেই, জনবলও বেড়েছে। তাই আশা করছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার এডিপি বাস্তবায়নে রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
তবে এডিপির লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্প পরিচালকরা বাড়তি অর্থের বরাদ্দ চেয়েছেন বলে তিনি জানান।
আজ সোমবার শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভাশেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল হাসান এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) বিভাগের সচিব মো. মফিজুল ইসলামসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত এবং ৩৫০ কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব বরাদ্দ প্রাপ্ত ৮৬টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। মোট ২৪টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এই ৮৬টি প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দের পরিমাণ ৯৪ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ৫৭ শতাংশ। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রকল্পসমূহের ২৩ হাজার কোটি টাকা ১৮ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এডিপির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয় করা হয়েছে। আগে একজন পিডির অধীনে একাধিক প্রকল্প থাকত। এখন একজন পিডির অধীনে কেবল একটি প্রকল্প থাকে। অতীতের তুলনায় প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ার পাশাপাশি গুনগত মান বেড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, সার্বিক বিবেচনায় গতবছরের তুলনায় এবছর এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট এক লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিক পথেই আছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এর কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাসস
দৈনিক দেশজনতা /এন আর