নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শশী কাপুর।সোমবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। কিডনির সমস্যা ছিল অভিনেতার। বারবার ডায়ালিসিস করতে হত তাঁকে।
কাপুর পরিবারের জন্ম। সেই সুবাদেই অভিনয় জগতে আসা। তবে কেবল পারিবারিক ঐতিহ্য নয় নিজের অভিনয়ের জোরেই চলচ্চিত্র মহলে নিজের সম্মান আদায় করেছেন শশী। অমিতাভ বচ্চনের মতো অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়েই নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। তৈরি করেছেন নিজস্ব ম্যানারিজম যা আজও অনেক অভিনেতার কাছে আদর্শ। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশিই চালিয়ে গিয়েছেন থিয়েটার। পারিবারিক পৃথ্বী থিয়েটারকে জীবন্ত রাখতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
কাপুর পরিবারের ঘরানাতেই তৈরি হয়েছিলেন শশী। থিয়েটার ছিল রক্তে। আলো-ক্যামেরার দুনিয়ার সঙ্গে পরিচিতি সেই ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু যত দিন গিয়েছে, তত নিজেকে অন্য মাত্রায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন শশী।
প্রথাগত বাণিজ্যিক ছবির বাইরেও সিনেমার যে সমান্তরাল ধারা, সেখানেও তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। শ্যাম বেনেগাল থেকে অপর্ণা সেনের মতো পরিচালক তাঁকেই বেছে নিয়েছেন চরিত্র অভিনেতা হিসেবে। আবার দিওয়ার-এর মতো একেবারে মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। শুধু অভিনয়ই করেননি, অমিতাভ বচ্চনের দুরন্ত নায়কোচিত দাপটের মধ্যেও আলাদা জায়গা করে নিতে পেরেছেন। থিয়েটারের ঘরানা ধারণ করেই ভারতীয় সিনেমার দুনিয়াকে নয়া গতি দিয়েছিলেন। তাঁর অভিনয় তাই পরবর্তীকালে স্বতন্ত্র এক ঘরানা হয়ে ওঠে। আধুনিক প্রজন্মের কাছে তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান। ভারতীয় সিনেজগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহাবে ফালকেতেও সম্মানিত হয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর