নিজস্ব প্রতিবেদক:
কমবেশি সবাই কোনো না কোনো সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। সাধারণত খাবারের কারণেই এই সমস্যা দেখা দেয়। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে সহজে হজম হয় না। যারা অতিমাত্রায় এই সমস্যায় ভোগেন, তারা সহজে সহম হয় এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে এমন ৬টি খাবার-
১. কম প্রোটিনযুক্ত খাবার: এমনকিছু উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে যেগুলো ঠিকমতো হজম হয় না। এসব খাবার পরিহার করাই ভালো। তবে এমনকিছু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রয়েছে যেমন-মুরগী এবং টার্কি, বাদামের মাখন, মাছ এবং মুরগী। এগুলো পেটের জন্য হজমযোগ্য খাবার। যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য এই খাবারগুলো বেশ উপকারী।
২. কম কার্বোহাইড্রেট সবজি: কার্বোহাইড্রেটের কারণেই মানুষ পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। তাই বলে তো আর খাদ্যতালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট কম রয়েছে এমন শাক-সবজি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে- গাজর, শশা, সেলারি, ইগপ্ল্যান্ট, সিম, মাশরুম, চালকুমড়া, টমেটো, গোলমরিচ প্রভৃতি।
৩. কমমিষ্টি ফল: কম মিষ্টি ফল: সাধারণত মিষ্টি ফল খেলে পেট ফাঁপার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে কম মিষ্টিযুক্ত খাবার যেমন- আপেল, বেরি, পেয়ারা, তরমুজ, আঙুর, পেঁপে, লেবু কিসমিস প্রভৃতি ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
৪. গমের আটার বিকল্প: গমের আটার তৈরি খাবারে কঠিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দেয়। গমের আটার বিকল্প হিসেবে কর্ন, চালের আটা প্রভৃতি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
৫. দুগ্ধজাত খাবারের বিকল্প: ল্যাকটো তৈরিতে সাধারণত চিনি ব্যবহার করা হয়। যাদের হজম সমস্যা রয়েছে, তাদের পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। আপনি সয়া দিয়ে তৈরি পনির, টক দই, মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও ওটস, আলমন্ড, রাইস ও সয়ার দুধ খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
৬. অ্যাভাকোডা, হিউমুস, টাহিনী ও গুয়াক্যামল: স্যান্ডইউচ এবং সালাদে এ ধরনের ফলের মিশ্রণ রাখতে পারেন। অন্যান্য মিক্সফ্রুটের চেয়ে এটি বেশ স্বাস্থ্যসম্মত।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ