২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:০০

‘১৪৬ বছর বয়সে’ বিশ্বের ‘দীর্ঘজীবী ব্যক্তির’ মৃত্যু!

সডিমেদজো

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের মধ্যাঞ্চলে ‘১৪৬ বছর’ বয়সে তিনি মারা যান।

জন্মসংক্রান্ত নথিপত্র অনুযায়ী, সডিমেদজো নামের ওই ব্যক্তি ১৮৭০ সালের ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। ‘মে গোতা’ নামে তিনি পরিচিত। ইন্দোনেশিয়া ১৯০০ সাল থেকে জন্মনিবন্ধন শুরু করে। দেশটিতে এর আগে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্ম তারিখে অনেক ভুল রয়ে যায়।

তবে ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সডিমেদজোর দেওয়া নথিপত্র ও তাঁর সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাঁর দেওয়া তথ্য সঠিক।

স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে সডিমেদজোকে গত ১২ এপ্রিল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছয় দিন পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সডিমেদজোর নাতি সুরিয়ানতো বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফেরার পর তিনি শুধু দুই চামচ করে তরল খাবার খেতেন। পানি খেতেন সামান্য। এভাবে কয়েক দিন চলে। এরপর তিনি মারা যান।’

গত বছর বিবিসিকে সাক্ষাৎকারে সডিমেদজোর কাছে তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি বলেছিলেন, ধৈর্যই মূল। তিনি আরও বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এমন লোক রয়েছেন, যাঁরা তাঁকে ভালোবাসেন এবং দেখাশোনা করেন।

সডিমেদজো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রচুর ধূমপান করেন। জাপান এবং ডাচ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধের নানা কাহিনি শোনানোর জন্য তিনি তাঁর গ্রামবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।

সুরিয়ানতো বলেন, তাঁর নানাকে আজ সোমবার সকালে স্থানীয় একটি সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়। অনেক বছর ধরে সডিমেদজোর বাড়ির সঙ্গে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বসানো ছিল। সডিমেদজোর সমাধির ওপর ওই স্মৃতিস্তম্ভটি বসানো হয়েছে।

সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে সডিমেদজোর বয়স যদি ১৪৬ বছর বলে প্রমাণিত হয়, তবে তিনি ফরাসি শতবর্ষজীবী জিন কালমেন্টের চেয়েও দীর্ঘজীবী। ১২২ বছর বয়সে কালমেন্ট মারা যান। ইতিহাসে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষ বলে স্বীকৃত।

 

আরও সংবাদ

প্রকাশ :মে ২, ২০১৭ ৪:০৬ অপরাহ্ণ