২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৫৫

বাংলাদেশে সব ধর্মের সহাবস্থানে মুগ্ধ পোপ ফ্রান্সিস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ঢাকায় সফররত ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার সকালে তেজঁগাও হলি রোজারিও গির্জায় খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে পোপ এই মন্তব্য করেন।

ভাষণের পর চার্চের কবরস্থান পরিদর্শন করেন পোপ ফ্রান্সিস। তিন দিনের সফরের শেষ দিনের কর্মসূচিতে দুপুরের পর নটরডেম কলেজে তরুণদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন পোপ। বিকালেই তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। পোপ তার বক্তব্যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, কোনো ধর্মেই জঙ্গিবাদের স্থান নেই। কেউ যেন ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে জন্য সব মানুষের কাছে ধর্মের বাণী আরও সহজ করে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান পোপ ফ্রান্সিস।

খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় পোপ প্রত্যেককে ‘শুভ বীজ’ অভিহিত করে বলেন, ‘বীজের বেড়ে উঠার খেয়াল রেখো, বীজকে কোমল রেখো। অশুভ বীজ ও আগাছা থেকে সাবধান থাকতে হবে। ঈশ্বরের কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করবে যাতে তিনি বীজকে শুভ রাখেন, কারণ তিনিই বীজ তৈরি করেছেন। বীজকে এমনভাবে পরিচর্যা কর, যাতে তা ঈশ্বরের আত্মজ্ঞান হিসেবে প্রতীয়মান হয়।’

পোপ বলেন, ‘কারও সম্পর্কে নিন্দা করা মানুষের একটি ত্রুটি। পেছনে কথা বলা সমাজের শান্তি বিঘ্নিত করে। পরনিন্দা করা এক ধরনের সন্ত্রাসবাদ, কারণ যেমন পরনিন্দা আড়ালে হয়ে থাকে তেমনি সন্ত্রাসবাদও।’ তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষকে অপছন্দের কথাটি যদি সম্ভব হয় মুখের সামনে বলে দাও, যদি তা না পারও তাহলে এই কাজে সহায়তা করতে পারে এমন শুধু একজনকে বলবে, আর কাউকে নয়।’ পোপ ফ্রান্সিস বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় আসেন। গত দুই দিন তিনি ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আজও সকাল থেকে তিনি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

 

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২, ২০১৭ ২:১৪ অপরাহ্ণ