নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে যেসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তার ৮৬ শতাংশই নিম্ন আদালতে। আর এই আদালতের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি হয় বলে মনে করে দেশের ৩১ শতাংশ মানুষ। ২০১৫ সালে ইউএনডিপির এক জরিপে উঠে এসেছিল এমন তথ্য। আজ বৃহস্পতিবার টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিচারকের নাম করে, বিচারককে দিতে হবে এই ধরনের আরগুমেন্ট দেখিয়ে কিন্তু যারা অংশীজন আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই প্রবণতা আছে। যার মাধ্যমে দুর্নীতি বা অর্থ লেনদেন হয়। আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য অবশ্যই নেই যে সরাসরি কোনো বিচারক ট্রানজেকশন করেছেন। থাকলে সেটা আমরা চিহ্নিত করতাম।’
অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা প্রকাশিত না হওয়া এবং আদালতের কর্মচারীদের পৃথক আচরণবিধি না থাকাতেও জবাবদিহিতার জায়গাটি স্পষ্ট হচ্ছে না বলে মনে করে টিআইবি।
এ বিষয়ে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা সাধারণ নাগরিক হিসেবেও কিন্তু প্রভাবিত হয়েছি। আমাদের জীবনেও কিন্তু এটার একটা ছায়া পড়েছে, একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আমাদের নিজেদের মধ্যে। আমরা যে বিচার ব্যবস্থার বিষয় নিয়ে কথা বলছি, সেটা তো ওই বিচার ব্যবস্থারই একটা অংশ। তো আমি আপনার প্রশ্নের যদি সরাসরি উত্তর দেই, তাহলে হ্যাঁ অবশ্যই প্রভাবান্বিত হবে।’
দেশের ১৮টি জেলায় এই গবেষণা চালায় টিআইবি। যেখানে ৪৩৭ জনের সাক্ষৎকার নেওয়া হয় যাদের মধ্যে বিচারক ছিলেন ৬৬ জন।
এমন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলছে, অধঃস্তন আদালতে প্রাতিষ্ঠানিক, অবকাঠামোগত এবং নিয়োগ, বদলি থেকে শুরু করে সর্বত্রই জটিলতা রয়েছে। বিচারব্যবস্থার প্রতিটি স্তরেই নিয়মবহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে এই গবেষণায়। বলা হচ্ছে, দ্বৈত শাসনব্যবস্থা, বিচারক সংকট এবং মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অধঃস্তন আদালতে উদ্বেগজনক হারে দুর্নীতি হয়। সংস্থাটি বলছে, অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির সুযোগ করে দিতেও করা হয় দীর্ঘসূত্রতা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর