২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৮

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বহুল প্রতীক্ষিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী পাবনা জেলার রূপপুরে দেশের এই প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন—রোসাটামের মহাপরিচালক এলেসি লিখাচেভ এবং উভয় দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মাতীরের রূপপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প এলাকায় যে জায়গায় নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি হবে, সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কর্ণিক দিয়ে নিজে হাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের’ উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সাজানো হয় মনোরম সাজে। প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগান দেবে। রোসাটমের মাধ্যমে রাশিয়ার আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন ও জেএসসি অ্যাটমস্ট্রোক্সপোর্টের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তিতে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম ও অ্যাটমস্ট্রোক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির এন সাভুসকিন স্বাক্ষর করেন। রোসাটম নিযুক্ত রাশিয়ার অ্যাটমস্ট্রোক্সপোর্টের ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্প নির্মাণ করবে।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে দেশের এই সর্ববৃহৎ প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয় চূড়ান্ত করে। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন, সাইট ডেভেলপমেন্ট ও পার্সোনাল ট্রেনিংয়ের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের রাশিয়ার ঋণচুক্তি এবং ২০১১ সালে রোসাটমের সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে রাশিয়া সব ধরনের সহায়তা দেবে এবং জ্বালানি সরবরাহ করবে ও ব্যবহৃত জ্বালানি ফেরত নেবে।

২৬২ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের দুই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ৩০, ২০১৭ ২:৩৫ অপরাহ্ণ