২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:৫৯

শাজনীন হত্যা: রাতেই শহীদের ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের ফাঁসির রায় রাতেই কার্যকর করা হচ্ছে।

বুধবার রাত ৯টার পর যেকোনো সময় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাইসিকিউরিটিতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে কারাসূত্র। রায় কার্যকরকে ঘিরে কারা ফটকের সামনে বিকাল থেকেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

কাশিমপুর কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গুলশানে নিহত শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ এই কারাগারে গত পাঁচ বছর ধরে বন্দী ছিলেন। রিভিউ খারিজের পর তাকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়। পরে তার মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে এসে পৌঁছায় এবং আদালতের রায় কার্যকরের জন্য কারাগারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নেয়া হয়। রাত ৯টার পরে কারাগারের জল্লাদ রাজু শহীদের ফাঁসি কার্যকর করবেন। পরে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে পাঠানো হবে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাড়িতে খুন হন স্কুল ছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায়  শাজনীনের বাবা লতিফুর রহমান গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে সিআইডি। তদন্ত শেষে প্রথম মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-১ এবং দ্বিতীয় মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুটি মামলাতেই আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।

২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে দেয়া পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অপর আসামি শনিরামকে খালাস দেন। এরপর পাঁচ আসামি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সাজাপ্রাপ্ত  চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। সাত বছর পর ২৯ মার্চ ওই পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি একই সঙ্গে শুরু হয়। চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহীদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ ওই রিভিউ আবেদনটি খারিজ করে দেন।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :নভেম্বর ২৯, ২০১৭ ৯:০৮ অপরাহ্ণ