নিজস্ব প্রতিবেদক:
শীত বাংলা সনের পঞ্চম ঋতু। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শীতকাল হলেও বাস্তবে নভেম্বর থেকেই শীত অনুভূত হয়। তবে এবার আসি আসি করেও শীত যেন আসছে না। নভেম্বরের শেষ দিকেও রাজধানীবাসীকে রাতে হিম হিম ভাব এনে কাঁথা কিংবা কম্বল মুড়ি দিয়ে সুখনিদ্রা দিতে চালাতে হচ্ছে বৈদ্যুতিক ফ্যান। দেশের উত্তরাঞ্চলে কিন্তু ঠিকই শীত জেঁকে বসেছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ অবস্থায় শীতের আমেজ পেতে রাজধানীবাসীকে কিন্তু আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ নিঝুম রোকেয়া বলেন, এবার রাজধানীতে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের তেমন আশঙ্কা নেই। তবে হিমেল হাওয়ার কামড় কিছুটা অনুভূত হতে পারে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। তখন তাপমাত্রা নেমে যাবে। তিনি আরও বলেন, শীত এবার উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসতে পারে। এখনই সেখানে ১১.৮ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে গেছে। সে তুলনায় রাজধানীতে তাপমাত্রা তেমন কমেনি। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গলেও তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাবে বলে মন্তব্য করেন এ আবহাওয়াবিদ।
সাধারণত নভেম্বর মাসে দেশে হাড় কাঁপানো শীত খুব একটা পড়ে না। কারণ সূর্য যত দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে যায়, শীতের তীব্রতা ততটাই বাড়তে থাকে। তা ছাড়া দিনের ব্যাপ্তি কমে আসায় ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশে শীত পড়তে শুরু করে। তখন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বাতাস বাংলাদেশের দিকে আসায় তাপমাত্রা আরও কমে আসে। এর সঙ্গে সাইবেরিয়া থেকে আসা হিমেল বাতাস যোগ হয়। ফলে হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করে। তাই ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলে ডিসেম্বরের শেষ দিকে দু-একটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে কামড় বসাতে পারে শীত। শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। একই সঙ্গে ঘনকুয়াশাও পড়বে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি