২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৪৬

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত: রিজভী

দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক: (ঢাকা, ১৮ মে’১৭)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছুটা হলেও উপলব্ধি করেছেন যে, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারাও জড়িত ছিলেন। সুতরাং অন্যদের দিকে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। আপনার আশেপাশের লোকদের সম্পর্কেই সতর্ক থাকুন।

তিনি বলেন, যে গণতন্ত্রকে বন্দী করেছেন সেটিকে মুক্ত করুন। মানুষের নাগরিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। আপনাদের অন্তর থেকে আবারও একদলীয় নির্বাচনের বাসনা পরিত্যাগ করুর। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

রিজভী আরো বলেন, হিংসাপরায়ণ রাজনীতি পরিহার করুন। মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য ও কুিসত রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। গণতন্ত্রের ধারা সচল থাকলে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারে না।

বিএনপি নেতা বলেন, বুধবার তার (শেখ হাসিনা) স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরকার প্রধান যে বক্তব্য রেখেছেন, সেখানে কিছুটা সত্য উপলব্ধি থাকলেও বেশির ভাগই হচ্ছে তার স্বভাবসুলভ এবং অনর্গল মিথ্যাচারেরই পুনরাবৃত্তি।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলতে চাই-যারা আপনার বাবার রক্ত ডিঙিয়ে শপথ নিয়েছেন এবং সেই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন, তারা ১৯৮১ সালের ১৭ মে থেকে কী করে আপনার অধীনে রাজনীতি করলেন। এমপি হলেন, মন্ত্রী ও উপদেষ্টা হলেন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন ।

রিজভী বলেন, আমরা জানি, আপনার বাবার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অভিযুক্তদের ব্যাপারে আপনি ক্ষমাহীন। তাহলে এখনও কী করে আপনি এইচ টি ইমামকে সহ্য করছেন এবং মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আপনার উপদেষ্টা বানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওই সময়ে প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল শফিউল্লাহ, যার কাছে আপনার বাবা রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহায্য চেয়েছিলেন। শফিউল্লাহ সাহেব তখন আপনার পিতাকে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করা যার প্রধান দায়িত্ব ছিল, তিনি কিনা কাপুরুষোচিত পরামর্শ দিলেন রাষ্ট্রপতিকে। সেই শফিউল্লাহ সাহেবকেও আপনি আপনার দলের টিকিটে এমপি ও একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও করেছিলেন।

রিজভী আরো বলেন, বিদেশ থেকে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতা ও তৎকালীন জাতীয় সংসদের স্পিকার আপনার পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন-‘ফেরাউনের পতন হয়েছে।’ সেই আওয়ামী লীগ নেতা মালেক উকিল সাহেবের পুনরুজ্জীবিত আওয়ামী লীগেরই আপনি সভাপতি হয়েছিলেন। যারা ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন সেই ইনু-মতিয়া চৌধুরীরা এখন আপনার মন্ত্রীসভা আলোকিত করে বসে আছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ মে) শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘরের ভেতর থেকে শত্রুতা না করলে বাইরের শত্রু সুযোগ পায় না। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকেই আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো। এরা কেউ দূরের না, এরাই ষড়যন্ত্র করল।

দৈনিক দেশজনতা/এমএম

সময়- ১৯:৪৩

প্রকাশ :মে ১৮, ২০১৭ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ