২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১২

সীমান্ত দিয়ে আসা মাদকের রমরমা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলো মাদকের আখড়া বলে প্রায়ই শোনা যায়। ডাক নাম ফেন্সি, ফান্টু বা ৬ ইঞ্চি যাই হোক না কেন, পুরো নাম ফেন্সিডিল। আরেক নেশার গুটি, আড়াই, তিন, বাবা আসল নাম ইয়াবা। হিরো বা পাউডার আসল নাম হিরোইন, শুকনা বা সবজি আসল নাম গাঁজা, ভেজা বা তরল আসল নাম মদ।

নেশার জগতে মাদকের বিকল্প নামের শেষ নেই। আইনের চোখে মরণ নেশা হলেও মাদকসেবীদের কাছে যেন অনুভূতিটাই আলাদা। তাই তো হাজারো যুবক এ মরণ নেশার প্রেমিক হয়ে পড়েছেন। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জের গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মাদকের ছোবলে আসক্ত হয়ে পড়ায় ঝরে পড়ছে হাজারো তরুণের স্বপ্ন। শহর এবং গ্রামের বিভিন্ন যায়গায় যত্রতত্রভাবেই চলছে মাদকের ব্যবসা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মাদকের রমরমা আকড়া থেকে সীমান্ত দিয়ে আমদানি হয় এসব মাদকদ্রব্য। এতে এলাকার সাধারণ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ মরণ নেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে উঠতি বয়সের মানুষ।  সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের যুবকদের মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এমনকি খুন-খারাপির মতো সব কর্মকাণ্ড।

জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত অভিযান চালিয়েও পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মাদক ব্যবসা। মাঝে মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায় থেকেও মাদকসহ বিক্রেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী মাদক ব্যবসায়ী জানান, ১২ বছর হলো স্বামী থেকেও নেই। প্রায় ১০ বছর ধরে এই মাদক ব্যবসা করে সংসার চালান তিনি।

তিনি বলেন, কতবার প্রশাসনের কাছে ধরা পড়েছি, আবার ছাড়াও পেয়েছি। জেল কতবার খেটেছি তারও হিসাব নেই। তিনি আরো বলেন, টাকার বিনিময়ে রাজশাহীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আমার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় মাদক। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, মাদককে নির্মূল করতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, মাদককে লাল কার্ড দেখাতে প্রতিনিয়ত শহর থেকে গ্রামের মাদকের প্রতিটি পয়েন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২৯, ২০১৭ ২:০৩ অপরাহ্ণ