২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৪৪

বনানীর ২ তরুণী ধর্ষণ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রণের তারিখ আগামী ৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. সফিউল আজমের আদালতে মামলার বাদিকে সাফাত আহমেদের পক্ষে জেরা করেন তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। তবে এদিন জেরা শেষ হয়নি। বিচারক পরবর্তী জেরার তারিখ ৩ জানুয়ারি ধার্য করেন।

গত ১৬ অক্টোবর এ মামলায় বাদী সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। সাক্ষ্যগ্রহণকালে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বাদীর পক্ষে আইনি সহায়তাকারী মহিলা আইনজীবী সমিতির ফাহমিদা আক্তার রিংকি এসব তথ্য জানান। গত ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ১২ জুন মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালত থেকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বদলি করা হয়। এর আগে গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।

অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার পাঁচ আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। আসামিদের মধ্যে রহমত আলী ছাড়া অপর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২৭, ২০১৭ ৩:২৭ অপরাহ্ণ