দেশের ক্যানসার চিকিৎসা আরও আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি বছরই ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ চিকিৎসক গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ক্যানসার রোগীদের ওষুধ (কেমোথেরাপি) সহজলভ্য করা হয়েছে এবং প্রায় সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ক্যানসার রোগ চিকিৎসার পরিধি বৃদ্ধি, সহজলভ্য ও মানোন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে এ সরকারের আমলেই ২০০৯ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১৫০ শয্যায় এবং ২০১৫ সালে ১৫০ শয্যা থেকে ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের শয্যা সংখ্যাও বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনামূল্যে ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ (কেমোথেরাপি) রোগীদের প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বিশেষ অনুদান দেয়া হচ্ছে। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক রেডিওথেরাপি চিকিৎসার আধুনিক নতুন মেশিন ইতোমধ্যেই সংযোজন করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যানসার চিকিৎসার জন্য কয়েকটি ব্রাকিথেরাপি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহে পর্যায়ক্রমে পুরাতন রেডিওথেরাপি মেশিন (কোবাল্ড-৬০)-এর স্থলে নতুন মেশিন প্রতিস্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য মো. আব্দুল মতিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি পোল্ট্রি এবং ফিস ফিড দেশে ক্যানসারসহ অনেক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ