নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ-ভারত ৫ (পাঁচ) রুটে বাস অপারেটর নিয়োগে দেয়া দরপত্র প্রক্রিয়া ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ আদেশের ফলে দরপত্র প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থা বহাল রয়েছে। তাই এখন দরপত্র উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। রুট পাঁচটি হচ্ছে- ঢাকা-কলকাতা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা, ঢাকা-আগরতলা ও ঢাকা-সিলেট-শিলং-গুয়াহাটি। এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য পক্ষগুলোকে বলা হয়েছে।
এর ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
আদালতে বিআরটিসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শ.ম রেজাউল করিম। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন, তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী এ আর এম কামরুজ্জামান কাঁকন।
এর আগে ওই দরপত্র প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) লিভ টু আপিল করেছিল।
পরে আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ওই পাঁচ রুটের দরপত্র প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে বিআরটিসি লিভ টু আপিল করেছিল। আপিল বিভাগ ওই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে হাইকোর্টকে রুল শুনানি করতে বলা হয়েছে। ফলে দরপত্র প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল থাকছে। তাই এখন দরপত্র উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
জানা যায়, ওই পাঁচ রুটে বাস অপারেটর নিয়োগের জন্য গত ৪ জুলাই পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া-নৈরাজ্যকে আরও উসকে দিতে পারে—এমন শঙ্কা থেকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষে দুই দেশের প্রটোকল অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায়। জবাব না পেয়ে সমিতির পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
রুলে ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাস অপারেটর নিয়োগে দেয়া দরপত্র বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ভাড়া নির্ধারণ না করে কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ায় হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দরপত্র প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিআরটিসি লিভ টু আপিল করে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ