নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৩৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এই মূল্য কার্যকর হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ৩৪ (৬) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য কমিশনে আবেদন করে। তাছাড়া ওই ধারা মোতাবেক বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা হিসেবে বিউবো, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার পরিবর্তন বা সমন্বয়ের জন্য কমিশনের আবেদন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন বিদ্যুৎ সংস্থা ও কোম্পানিসমূহের আবেদনের ওপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর হতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত গণশুনানি গ্রহণ করে। শুনানি পরবর্তী স্টেকহোল্ডারদের মতামত এবং গণশুনানিতে প্রাপ্ত মতামত ও তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। মূল্যহার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সকল শ্রেণির গ্রাহকের স্বার্থ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর আর্থিক প্রভাব, বিত্তহীন ও নিম্নবিত্তসহ সকল গ্রাহকের ওপর আর্থিক চাপ হ্রাস, সারাদেশে বিদ্যুতের অভিন্ন মূল্যহার, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সর্বোপরি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ২২(খ) ও ৩৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিসমূহের নীট বিদ্যুৎ বিতরণ খরচ বৃদ্ধি বিবেচনায় সকল বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার ভারিত গড়ে শূন্য দশমিক ৩৫ টাকা/কি. ও ঘ. বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই মূল্যহার আগামী মাস থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সচিব মুহ. মাহবুবর রহমান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদ্যুতের নূন্যতম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে মোট গ্রাহকের ১৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩০ লাখ লাইফ-লাইন গ্রাহকের (০-৫০ ইউনিট) বিদ্যুৎ বিল হ্রাস পাবে। তাছাড়া বাপবিবো’র প্রায় ৬০ লাখ (মোট গ্রাহকের ২৫ শতাংশ) লাইফ-লাইন গ্রাহকের জন্য খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ সারাদেশে মোট গ্রাহকের প্রায় ৩৮ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল মোটেও বৃদ্ধি পাবে না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি