নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মতে, কেবলমাত্র অক্টোবর মাসেই ৩০ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যার বেশিরভাগই শিশু।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের নীতি- নৈতিকতার অবনতি, সামাজিক অবক্ষয়, অপরাজনীতি, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় বাড়ছে শিশু হত্যা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বলছে, পারিবারিক এবং সামাজিক অপরাধের কারণে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বাড়ছে।
এ বছরের নভেম্বরে রাজধানীর কাকরাইল এবং বাড্ডায় খুন করা হয় মা-ছেলে এবং বাবা-মেয়েকে। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর রাজধানীর গুলিস্তানে মাদ্রাসা ছাত্র খুন করে অপর মাদ্রাসা ছাত্রকে। এর আগে ১০ জানুয়ারি মিরপুর দারুস সালামে দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন মা। ৮ জুন রাজধানীর তুরাগে তিন শিশুকন্যাকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন মা।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, এ বছরের অক্টোবরে ৩০ শিশুকে বিভিন্নভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে বাবা-মায়ের হাতে নিহত হয় ৫ জন। সাভারে দেড় বছরের শিশুকে লাথি মেরে হত্যা করে তার পিতা। নরসিংদীতে ১৫ বছরের শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে শিশুটির চাচী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণই বেড়ে যাচ্ছে এসব ঘটনা। ঘটনাগুলো ঘটছে এটা সত্যিই দুঃখজনক। এতে বলা যায় সমাজে অবক্ষয় চলছে। নীতি, নৈতিকতা কোনো কিছুই কাজ করছে না। আমাদের আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই, প্রয়োগ নেই বলেই আমরা কেউ আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল নই এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল নই বলে যত ধরনের অনৈতিক কাজ খুব সহজেই করতে পারছি।
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৫ জন খুন হচ্ছে যার মধ্যে বেশিরভাগ শিশু।
পুলিশ সদর দফতর এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, পারিবারিক বা সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়ে এ ধরণের অপরাধের লাগাম টানার চেষ্টা করছেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ