২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:২৫

মুক্তিযোদ্ধা হতে ন্যূনতম ১৩ বছর কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নতুনভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করার ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখ পর্যন্ত বয়স ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে- সরকারের জারি করা এমন গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফজলুল করিম ও ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন উপ হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) খন্দকার সহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে আলতাফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার গেজেট নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (প্রশাসন) দেয়া চিঠির কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) চিঠি দিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কাগজপত্রের সত্যতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাকে প্রত্যয়ন করা যায়নি।

এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সহিদুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় তার নাম আছে। ১৯৮১ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অডিটর পদে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়।

২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা এর সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট জারি করা হয়। ওই গেজেটে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে বয়স ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।

পরে সহিদুল ইসলাম ওই রিটে এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সম্পূরক আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ১৩ বছর না হওয়ার কারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করছে না অডিটর অফিস।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :নভেম্বর ২১, ২০১৭ ৬:০২ অপরাহ্ণ