নিজস্ব প্রতিবেদক :
মেঘনা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ নূরুল আমিনের পদত্যাগের সঙ্গে ব্যাংকটির ধানমন্ডি শাখায় একটি ঋণ খেলাপির বিষয়ের যোগসূত্র আছে বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান এইচএন আশিকুর রহমান।
মঙ্গলবার নূরুল আমিনের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে আশিকুর রহমান গণমাধ্যমের কাছে এ দাবি করেন।
২ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন নূরুল আমিন। ১৯ নভেম্বর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় তার পদত্যাগপত্র অনুমোদন করা হয়। ৩০ নভেম্বর থেকে তার পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে। আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তার চাকরির মেয়াদ ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান বলেন, ‘২ নভেম্বর পদত্যাগপত্র দেন নূরুল আমিন। ৬ নভেম্বর একটি বোর্ড বসেছিল। আমি ওই বোর্ডে ছিলাম না। আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম। বোর্ডে বলা হয়, পরবর্তী বোর্ডে পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে, যখন চেয়ারম্যান থাকবেন। সিদ্ধান্তটি ঝুলে ছিল।’
নূরুল আমিন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় একটি ঋণ খেলাপি হয়। সেই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আশিকুর রহমান বলেন, একটি ঋণ আছে, যেটাতে নিয়মকানুন মানা হয়নি। নিয়ম মানা উচিত ছিল। ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার জন্য সব জায়গায় নিয়মকানুন থাকতে হয়। ওই বিষয়টির (ঋণ খেলাপি) সঙ্গে নূরুল আমিনের পদত্যাগের কিছুটা যোগসূত্র আছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
নিয়োগের চুক্তি অনুযায়ী পদত্যাগ করার পরও নূরুল আমিনের তিন মাস দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু তাকে কেন সেই সুযোগ দেয়া হলো না—এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, বোর্ড চেয়েছে, তাই এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে আইন মোতাবেক তিনি তার পাওনা পাবেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ