নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। দোষীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের আইনের আওয়াতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
সোমবার রংপুরের ঠাকুর পাড়া হিন্দু পল্লী পরিদর্শনের সময় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এ হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে বিএনপির মহাসচিব জানান, এই ঘটনা তদন্তে বিএনপির পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগির ওই তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসবে। আমরা এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। তদন্ত করে যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকেই শাস্তি দিতে হবে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, যারা নিরপরাধ তাদের কাউকে হয়রানি না করতে। আমরা আশা করব এই ঘটনায় নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হবে না।’
সেখানে তিনি বলেন, ‘কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা হলেই সরকার আমাদের দোষারোধ করে। কিন্তু তখন আমি তাদের বলব, আপনারা আপনাদের খতিয়ানগুলো খুলে দেখবেন, স্টাটিসটিক দেখবেন কোন সরকারের আমলে বেশি করে এই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হয়েছে। তাহলেই বোঝা যাবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই অত্যাচার বেশি হয়েছে।’
এই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির উপর দোষ চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা রামুর (কক্সবাজারে বৌদ্ধদের ওপর হামলা) ঘটনায় দেখেছেন যে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দই সেখানে এই কর্মকাণ্ড করেছে। একইভাবে পাবনা এবং নাসিরনগরের (ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা) ঘটনাও তারা ঘটিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। এতে দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া টিটু রায়ের বাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়িঘর পরিদর্শন করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তাদের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গিসহ নগদ অর্থ বিতরণ করেন মির্জা ফখরুল। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর