নিজস্ব প্রদিবেদক:
একই জমি কয়েকবার বিক্রি করা, সময়মতো প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করা, চুক্তির পরে বেশি টাকা দাবি করা, ফ্ল্যাটে যেসব সুবিধা দেওয়ার কথা তা না দেওয়াসহ হাজারো অভিযোগ আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ যেসব আবাসন প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের সদস্য নয় তাদের বিরুদ্ধে। এজন্য যারা রিহ্যাব সদস্য নয় তাদেরকে ব্যবসা করতে না দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন সময়। তবে রিহ্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম নয়। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য রিহ্যাবের উদ্যোগ রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে রিহ্যাব থেকে বহিস্কারও করা হচ্ছে সদস্যদের। তবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও আবাসন কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছেই।
ঢাকার নবাবগঞ্জের আলগীচর গ্রামের বাসিন্দা জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনি দি বেঙ্গল ওয়ান ক্রিয়েশন লিমিটেড থেকে মিরপুর ১০ বিওসিএল বাতায়ন থেকে একটি ফ্লাট কেনেন। এক কোটি সাড়ে ১৮ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি করেন তিনি। ২০১১ সালে চুক্তি হওয়ার পর ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সাড়ে ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে দেন।
চুক্তি অনুযায়ী ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার কথা। তবে এখন বিভিন্ন টালবাহানা করছে ওই কোম্পানি। তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে থানায় জিডি করা হয়েছে। এখন টাকা ও ফ্ল্যাট কোনটাই ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। এভাবে আরো অনেক কোম্পানির বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ রয়েছে। রিহ্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন অভিযোগ এলে তারা খতিয়ে দেখেন। প্রয়োজনে রিহ্যাবের মেম্বার পদ থেকে বহিস্কার করে দেওয়া হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

