ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন ও অনুমোদনহীন (অঅনুমোদিত) ওষুধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকসহ ১০ জনের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু অভিযানের নেতৃত্ব দেন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের পরিদর্শক তোতা মিয়াসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, ভ্রাম্যমান আদালত শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন সদরের কয়েকটি ব্যবসায়ী ও ওষুধের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় প্রায় ১ ট্রাক অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্রায় ১ পিকআপ ভ্যান অনুমোদনহীন ওষুধ জব্দ করেন।
তিনি আরো জানান, অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ রাখার দায়ে আদালত পরিবেশ অধিদপ্তর সংরক্ষণ আইনে লালমোহন উপজেলার কাকলী স্টোরের মালিকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, মামুন হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, মামুন স্টোরের মালিকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, শাহীন স্টোরের মালিকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, জাহাঙ্গীর স্টোরের মালিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, জুয়েল স্টোরের মালিকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও রুবেল স্টোরের মালিকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ ছাড়া অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে মেডিকেল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে (ওষুধ আইনে) লালমোহন উপজেলা সদরের ওষুধ দোকানি আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আলমগীর একজন পল্লী চিকিৎসক হয়ে তিনি তার দোকানে এলোপথিক ওষুধসহ অবৈধভাবে সব ধরনের ওষুধ বিক্রি করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই উপজেলার আরাফাত নাছিমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর আইনে ৯ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ওষুধ আইনে চরফ্যাশন উপজেলা সদর থেকে রওশন হোমিও হলের মালিক হারুন-অর-রশিদের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ