ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা গ্রামের আলিমুদ্দিন মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে চরফ্যাশনগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি ফারহান-৫ লঞ্চের ধাক্কায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এতে মো. গিয়াস উদ্দিন (১৭) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহত গিয়াস উদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাটামারা গ্রামের আঃ শুক্কুরের ছেলে। দুর্ঘটনায় মোঃ মিরাজ (১৫) ও মোঃ কামাল (৩৫) নামের দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া এতে আহত হয়েছেন মোঃ জসিম (২৫), মোঃ মিজান (৩৫) ও মোঃ বিল্লাল (৩০) নামের তিন জেলে। আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলারে থাকা আহত মোঃ জসিম, মোঃ মিজান ও মোঃ বিল্লাল জানান, গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে তারা মেঘনায় জাল ফেলে ইলিশ শিকার করছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি ফারহান-৫ লঞ্চটি দ্রুতগতিতে চালিয়ে এসে তাদের মাছ ধরার ট্রলারকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় তারা ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী মাছ ধরার ট্রলার এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের ট্রলারে তোলেন। পরে ওই ট্রলারসহ তারা দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারের কাছে এসে দেখেন দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে জেলে মোঃ গিয়াস উদ্দিনের লাশ পড়ে আছে। ট্রলারের মধ্যে থাকা ৬ জেলের মধ্যে ৪ জনের সন্ধান পেলেও বাকি ২ জন জেলে মোঃ মিরাজ ও মোঃ কামাল নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত গিয়াস উদ্দিনের বাবা আঃ শুক্কুর জানান, ঘটনার পরপরই অজ্ঞাতনামা মোবাইল ফোনে তাকে ঘটনা সম্পর্কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়াস উদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার ও আহত ৩ জনকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যপারে এমভি ফারহান-৫ লঞ্চের সুপারভাইজারের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ‘আমি কোনো কিছুই জানি না’ বলে মোবাইল ফোনের লাইনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। সন্ধ্যায় এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত তজুমদ্দিন কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার মোঃ জসিম জানান, তাদের ডুবুরিদল নিখোঁজ মোঃ মিরাজ ও মোঃ কামালকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গিয়াস উদ্দিনের ভাই মোঃ জসিম বাদী হয়ে এমভি ফারহান-৫ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর