বাগেরহাট প্রতিনিধি:
সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু আব্বাস বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি দোনলা বন্দুক, দুইটি একনলা বন্দুক, একটি কাটা রাইফেল, একটি এয়ার রাইফেল, দুইটি পাইপগানসহ সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২৪ রাউন্ড কার্তুজ ও আরও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল র্যাব-৮ এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।নিহত দুই জন হলেন, মো. ইউসুফ ফকির (৩৪) ও মো. রুহুল আমিন শেখ (৪৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় কিছু জলদস্যু ও বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা সংগঠিত হয়ে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছিল। র্যাব তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে।
বুধবার সকাল পৌনে আটটার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ্বর নদের কাতলার খাল এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পেয়ে র্যাব সেখানে অভিযান চালাতে যায়।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির এক পর্যায়ে বনদস্যুরা বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সাতটি অস্ত্র ও ১২৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
বন্দুকযুদ্ধের পর জেলেরা এসে নিহত দুজনকে বনদস্যু আব্বাস বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করেন বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর