নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন সেনাবাহিনী থাকাটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ। তবে এ বিষয়ে ইসি এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশের অবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পরিবেশ―সিদ্ধান্ত নেওয়ার বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। সময়ই বলে দেবে কীভাবে সেনাবাহিনীকে রাখা হবে। কেবল অধিকাংশের মতের কোনও মূল্য নাই। ইসি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। ইসি বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, সিআরপিসিতেও বলা আছে সেনাবাহিনীর কমিশন অফিসার কোথাও গণ্ডগোল দেখলে আইনের আওতায় আনতে পারবেন। সে হিসাবে ইসি কোথাও সীমিত হয়ে পড়ছে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশব্যাপী ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারেরা সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করার শপথ নিয়েছেন। সে শপথ নিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করবো না―তা হয় না। সংবিধান অনুযায়ী সংবিধান সমুন্নত রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনের একটা অনুষঙ্গ হচ্ছে যারা হেরে যায় তারা প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের দায় দায়িত্ব জনগণের কাছে। যদি নির্বাচনে কোনও প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হই, আমরা সেটা ভয় করি না। দেশের মানুষ যদি বোঝে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, সেটা যদি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে তাহলে আমি মনে করবো আমরা যা চেয়েছি তাই হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সব শর্ত পূরণ করা হচ্ছে কি না ইসি তা কঠোরভাবে দেখবে। দোকান ভাড়া নিয়ে বলে দেবে দলীয় কার্যালয় তা হবে না।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্ভবত আদমশুমারির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এবার কিছু ছিটমহল যুক্ত হয়েছে। ইসি তাদের বাদ দিয়ে চিন্তা করবে না। সেক্ষেত্রে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি চলে আসতে পারে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর