নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় শুনানি শেষে সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা আপন জুয়েলার্সের দুই মালিক গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
একই আদালতে আগামীকাল মঙ্গলবার আপন জুয়েলার্সের অপর মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর তারা ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২ নভেম্বর আদালত তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ৬ নভেম্বর তাদের পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে উক্ত আসামিরা গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে হাইকোর্ট তাদের চার সপ্তাহের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন। চার সপ্তাহ পর তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা প্রায় নয় সপ্তাহ পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ মে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরই জেরে সাফাত আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু শাখা থেকে প্রায় ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। জব্দকৃত এসব সোনা ও হীরার বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় অর্থপাচারের অভিযোগে ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালংকার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। এর আগে ৮ জুন আপন জুয়েলার্সের ওই তিন মালিকের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির পাঁচটি মামলা করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর