নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ সকালে থেকেই ঢাকামুখী সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা হঠাৎ করে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। উপায় না পেয়ে অনেকেই সিএনজি ও রিকশা ভাড়া করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। যাত্রীদের ধারণা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরেই গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিকরা।
আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকেই ঢাকার কাছের জেলাগুলো থেকে ঢাকামুখী সব গণপরিবহন রয়েছে। গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোন বাস ছাড়ছে না।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামীসহ সব ধরনের যাত্রী। উপায় না পেয়ে দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই কেউ কেউ সিএনজি অটোরিকশা- এমনকি রিকশায় করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ঢাকায় আসছেন। কাছের জেলাগুলো থেকে বাস না আসায় চাপ পড়েছে রাজধানীতেও। ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর দেখা মিলছে খুব কম।
মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন মিশু নামের এক যাত্রী। তিনি যাবেন মগবাজার। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেও বাসের দেখা পাচ্ছেন না। একটি দুইটি বাস আসলেও তাতে তিল ধারনের ঠাঁই নাই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দিগুন ভাড়া দিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান তিনি। মতিঝিলে কথা হয় এক নারী যাত্রীর সঙ্গে। তিনি যাবেন বাংলামোটর। তিনি জানান, ৪০ মিনিট ধরে বাসের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু বাসের দেখা মিলছে না। উপায় না পেয়ে রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
শনিরআখড়া থেকে আমাদের প্রতিবেদক মোসাদ্দেক বশির জানান, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, কাজলা, চিটাগাং রোডে হাজার হাজার মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। রাস্তায় কোনো বাস নেই। দুই একটি বাস পাওয়া গেলেও যাত্রীরা তাতে উঠতে পারছেন না। পুলিশ বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম রোকন জানিয়েছেন, সকাল থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা ট্রেন চলাচলও অস্বাভাবিক রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে সব গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই অনেকটা অঘোষিত হরতালে পরিণত হয় নারায়ণগঞ্জ শহর। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও এসি বাস চালু রয়েছে। সকার থেকে এ বাসগুলো শহরের মেট্রো হল ও চাষাঢ়া কাউন্টার থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল থেকে প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেও কোনো বাস তারা পাচ্ছেন না। উপায় না পেয়ে অনেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ট্রেন অনেক দেরীতে ছাড়ছে আজকে।
ট্রাফিকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই বাস চলছে না। তবে এর কারণ সম্পর্কে আমার জানা নেই। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, বিএনপির সমাবেশে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ যাতে ঢাকা যেতে না পারে সজন্য সরকার গণপরিবহন বন্ধি করে দিয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ