স্বাস্থ্য ডেস্ক:
জলপাই, একটি মৌসুমি ফল। এর আদি আবাসস্থল পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায়। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেও এটি পাওয়া যায়। আরব দেশে একে Liquid Gold বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়। জনপ্রিয় এ ফল জলপাই শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। এই ফল নিয়মিত খেলে পেতে পারেন বেশ কিছু উপকারিতা। নিচে জলপাইয়ের কয়েকটি উপকারী গুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো-
১.অ্যালার্জি প্রতিরোধে : গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। জলপাইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভুমিকা রাখে।
২. ক্যান্সার প্রতিরোধে : কালো জলপাই ভিটামিনেরই ভালো উৎস। জলপাইতে আছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট। জলপাইয়ের ভিটামিন-ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়।
ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৩.ওজন কমাতে : যখন জলপাইয়ের মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট অন্য খাবারে বিদ্যমান স্যাচুরেটেঅ্যালার্জি প্রতিরোধ করবে জলপাই! ড ফ্যাটের বদলে গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের ভেতরের ফ্যাট সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলেও রয়েছে লো কোলেস্টেরল যা ওজন এবং ব্লাডপ্রেশার কমাতে সহায়ক।
৪. হৃদযন্ত্রের উপকারিতা : যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। জলপাইয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। জলপাইয়ে রয়েছে মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
৫. আয়রনের উৎস : জলপাই বিশেষ করে কালো জলপাই আয়রনের উৎস, আয়রন আমাদের দেহে রক্ত চলাচল করাতে সহায়তা করে, আর প্রাকৃতিক আয়রনের উৎসের জন্য জলপাই-ই সেরা।
৬.ত্বক ও চুলের যত্নে : কালো জলপাইয়ের তেল আছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা আনে। চুলের গঠনকে আরও মজবুত করে। ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা রোধ করে জলপাই।
৭.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে : জল পাইয়ে যে খাদ্যআঁশ আছে তা মানুষের দেহের পরিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমে সহায়তা করে।
৮. চোখের যত্নে : জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ওষুধের কাজ করে জলপাই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ