আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ ডিএফআইডি সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল। তার বিরুদ্ধে সরকারকে না জানিয়ে ইসরায়েলে একাধিক গোপন মিটিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রীতি প্যাটেলকে তার সরকারি আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্ত করে ব্রিটেনে ফিরে আসার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যদিও এর আগে প্রীতি প্যাটেল এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেন। তারপরও তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের কথা গোপনের দায়ে তার পদত্যাগ দাবি উঠেছিল।
কথিত যৌন কেলেঙ্কারির জের ধরে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন। এর আগে একই অভিযোগে দুজন এমপিকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত চলছে উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিয়ান গ্রিনসহ কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে। এমন প্রতিকূল সময়ে আরেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
গত আগস্ট মাসে ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে ইসরাইলে যান প্রীতি। ওই সময়ে দুই দিনে তিনি নেতানিয়াহুসহ দেশটির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মোট ১২টি বৈঠক করেন। সেখান থেকে ফিরে প্রীতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সাহায্যের অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ করেন।
গত সপ্তাহে গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রীতি দাবি করেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর বৈঠকগুলোর বিষয়ে জানত। কিন্তু পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা এসব বৈঠকের বিষয়ে অবগত ছিল না। ইসরাইলে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসকেও এসব বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়নি।
নিজের ভুল স্বীকার করে প্রীতি গত মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়েছেন। এতে বিতর্ক আরো জোরালো হয়েছে। আচরণবিধির চরম লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে বিষয়টিতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত এবং প্রীতির পদত্যাগের দাবি করে আসছিলো বিরোধীদল লেবার পার্টি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ