নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিমান নিয়ে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’র অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এনাম সাব্বিরের মা সুলতানা পারভীনসহ তিনজনের ফের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আসামি সুলতানা পারভীনের তিনদিন এবং অপর দুই আসামি সৈয়দ নুরুল হুদা মাসুম এবং মো. মাজহারুল ইসলামের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের করা অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা র্যার-৪ এর এসআই মো. আমিরুল ইসলাম প্রত্যেক আসামির পুনরায় পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
এর আগে গত ১ নভেম্বর সুলতানা পারভীনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার পুনরায় রিমান্ড আবেদন করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা পারভীন জানিয়েছে, তিনি মাঝে মধ্যে আব্দুল্লাহর ফ্লোরে আসতো এবং ছাদে উঠে চেয়ারে বসে আব্দুল্লার সঙ্গে কথা বলতো। আব্দুল্লাহও তার বাসায় মাঝে মাঝে যেত। একবার সুলতানা পারভীন কামালের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। জেএমবি নেতা ফরহাদ (সারোয়ার জাহান) আইএস এ বায়াত নেয় আব্দুল্লাহার বাসায় বসে। তখন মারজান, সাগর, ফারদীন ও আরো কয়েকজন ছিল। ফরহাদ বাংলাদেশের জেএমবির আমির হিসাবে আব্দুল্লাহ, সায়েম, সুলতানা পারভীন, হযরত আলী ও আসিফকে বায়াত দেয়।
মাসুম ও মাজহারুল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, একদিন জীবন ও সম্রাটের সঙ্গে আব্দুল্লাহর বাসায় যায়। আব্দুল্লাহর বাসায় কবুতর, বিভিন্ন ধরনের ফ্রিজ দেখতে পাই। আব্দুল্লাহ বলে, মাজার ভাঙ্গতে গিয়ে তুমি যদি মারা যাও তবে শহীদ হবে, জান্নাত পাবে। জিহাদ বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জীবন বলেন, টেলিগ্রাফ গ্রুপের ছেলেদের নিয়ে দেশের বাইরে মিয়ানমারে গিয়ে একটি ক্যাম্প করবো। আব্দুল্লাহ বলে দেশের বাইরে না, দেশের মধ্যে ঘরে বসেই জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর সুলতানা পারভীনের সঙ্গে ছেলে সাব্বির এমামের ৭ দিনের এবং পারভিনের আত্মীয় আসিফুর রহমান ও মো. আলম আলম এবং সাব্বিরের সহযোগী সাহাদাত হোসেন ওরফে আমির হামজা ও সম্রাট মিয়ার ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর