নিজস্ব প্রতিবেদক:
বায়োমেট্রিক তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে সিম বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরা হলেন- রংপুরের টেলিটক কাস্টমার কেয়ারের সুপারভাইজার আহম্মেদ জাহিদ আনোয়ার, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কম্পিউটার অপারেটর মো. মাহমুদুল হাসান মামুন ও মাদ্রাসা ছাত্র মো. সাইদুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে তথ্য চুরি করে নিবন্ধিত করা টেলিটকের অপরাজিতা ও বর্ণমালা প্যাকেজের ১ হাজার ১৫০ পিস টেলিটকের সিম জব্দ করা হয়েছে।
তারা দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সংগ্রহের পর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে নিবন্ধিত সিম কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব ফারহান জানান, রবিবার বিকালে রংপুর থেকে সিমের একটি চালান রাজধানীতে পাঠানোর প্রস্তুতির সময় জাহিদ ও মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে সাইদুলকে গ্রেফকতার করা হয়। সাইদুলের কাছ থেকেও বেশ কিছু সিম জব্দ করা হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্র সাইদুল সিমগুলো নিয়ে ফরিদপুর যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে।
চক্রের প্রতারণার কৌশলের বিষয়ে রাজীব ফারহান বলেন, একজন গ্রাহক যখন আঙ্গুলের ছাপ ও তার সব তথ্য দিয়ে একটি সিম কেনেন, তার সব তথ্য ওই অপারেটরের সার্ভারে থাকে। গ্রাহকের অজান্তে সেই তথ্য কপি করে এমনকি আঙ্গুলের ছাপও কপি করে অনলাইনে আরও ফরম পূরণ করে বাড়তি সিম নিবন্ধন করতো জাহিদ। সেগুলো খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতো। একজন সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কিনতে পারেন। চক্রের সদস্যরা সেই সুযোগটি নিতো।
সিআইডি’র এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ জানিয়েছে, সে দুই/তিন মাস ধরে এই কাজ করছে। কিন্তু সিআইডির কাছে তথ্য রয়েছে যে, জাহিদ গত একবছর ধরে এই জালিয়াতি করে। তারা উত্তরাঞ্চলের চার-পাঁচটি জেলায় এই সিম ছড়িয়ে দিয়েছে। এসব সিম কোনো কাগজ ছাড়া বিভিন্ন দোকান থেকে কেনা যায়। এমনকি রাজধানীতেও নিয়মিত এই সিম চালান করে তারা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর