ভারত মহাসাগরে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। আর দেশটিকে সব দিক থেকে রুখে দিতে সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। শুধু নিজেদের বাহিনী দিয়েই নয়, বন্ধু দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনের অগ্রগতি রুখে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে ১০টি দেশের সঙ্গে ভারত মহাসাগর সংক্রান্ত সব রিপোর্ট শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিলো ভারত। এই প্রথম এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো দেশটির পক্ষ থেকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪ জানিয়েছে, মানবপাচার, চোরাচালান কিংবা সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতেই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তারের পর যেভাবে চীন ভারত মহাসাগরে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে, তাতে চিন্তিত ভারত। তাই একা লড়াই না করে সবাইকে একজোট করে চীনকে আটকাতে চাইছে দেশটি। ভারতে নৌবাহিনী প্রধান সুনীল লাংবা জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ ওই ১০টি দেশ ভারতের এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমঝোতা থাকা প্রয়োজন। ‘গোয়া মেরিটাইম কনক্লেভ’-এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক বিশেষ সম্মেলন, যেখানে ভারতের আমন্ত্রণে প্রথমবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১০টি দেশের নৌবাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত হয়েছেন, সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সুনীল।
কিছু দিন আগেই গোয়ায় অ্যাডমিরাল সুনীল লাংবা জানান, ভারত মহাসাগরের প্রত্যেকটা দিক কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনারা। কোনও দিক থেকেই শত্রুরা প্রবেশ করতে পারবে না। অন্তত ১০০টি যুদ্ধজাহাজ সাজিয়ে চীনের পথ আটকে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, চীন যেভাবে ভারত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে আসছে, তা রুখতে ভারত কয়েকটি বন্ধু দেশের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভারত মহাসাগর ঘিরে ফেলেছে। যেকোনও সময় চীনের নৌবাহিনীকে আটকাতে প্রস্তুত ওইসব যুদ্ধজাহাজ।
নৌবাহিনী প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৭ সালে চীনের ১৪টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে গেছে। এরপরই তৎপরতার সঙ্গে ভারত মহাসাগরকে রক্ষা করার প্রস্তুতি নেয় নৌবাহিনী ।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি