বেনাপোল প্রতিনিধি:
বেনাপোল পেট্রাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারত ইমিগ্রেশন পাসপোর্টযাত্রীদের যাতায়াত এর সময় সূচী বেধে দেয়ায় অনেক প্রয়োজনীয় কাজ মিটাতে পারবে না বলে অভিযোগ করেছে একাধিক পাসপোর্টযাত্রী। ভারত থেকে ফিরে এসে অনেক যাত্রী বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী বলেছে, সে দেশে কোন সরকারি প্রজ্ঞাপন জারী না হওয়ায় অতিরিক্ত পাসপোর্টযাত্রীদের ভীড় এর দোহাই দিয়ে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা পাসপোর্টযাত্রীদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
ভারতের বিজিনেস ভিসার পাসপোর্টযাত্রী সত্যজিৎ বিশ্বাস (এম ৫৯৬৯৫৯৭) বিশ্বজিৎ মন্ডল (এম-৫৯৬৯০৪৫) বাংলাদেশে এসে বলে তাদের ইমিগ্রেশন পুলিশ বলেছে সপ্তাহে ১ বার এর বেশী বাংলাদেশে যেতে পারবে না। তারা বলেছে যাদের ব্যবসায়িক ভিসা আছে তারা সপ্তাহে একবার বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে। আর যাদের ভ্রমন ভিসা আছে তারা মাসে দুইবার প্রবেশ করতে পারবে। একই অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের একাধিক পাসপোর্টযাত্রী। তারা বলেছে আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যাবসায়িক ডাক্তার দেখানোসহ আত্মীয় বাড়ি যাওয়া জরুরী কাজ থাকলে ও ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্টে এন্ট্রি রিফিউজ সীল মেরে ফেরত পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হাদী রবিউলের ছেলে হাদী কুদ্দুস (বিকে ০৩০৭৭৬৭) কে ভারতে যাওয়ার সময় এন্ট্রি রিফিউজ সিল মেরে ফেরত পাঠিয়েছে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। শার্শার কুলপালা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (বিপি-০২৭৬১৮৩) গত ২ অক্টোবার ভারতে গেলে তাকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন রিফিউজ সিল মেরে বলে ১ মাস পর আসবে। সেই অনুযায়ী সে ১ নভেম্বর (বুধবার) ভারতে গেলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন তাকে আবার ও রিফিউজ সিল মেরে পাঠিয়ে দিয়ে বলে ১ মাস পরে আস। তবে কি কারণে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তার কোন উত্তর নাই তাদের কাছে।
অপরদিকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ বলছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এটা করছে তারা শুনেছে তবে কি জন্য করছে তা বলতে পারব না। এ ব্যাপারে দুই দেশের হাইকমিশনার পর্যায়ে সমাধান করা উচিৎ বলে মনে করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর হোসেন আলী।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি