নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ৮০ ভাগ ব্যাংকেরই প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যভাণ্ডারে (ডাটা সেন্টার) সাইবার হামলা বা আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা মোকাবেলায় দক্ষ জনবল নেই। এমনকি দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা ও তথ্য সুরক্ষার বিকল্প ব্যবস্থাও নেই অধিকাংশ ব্যাংকে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণায় ব্যাংকিং খাতের তথ্যভাণ্ডারের দুর্বলতার এ চিত্র উঠে এসেছে।
দেশের ২৭টি ব্যাংকের ওপর জরিপ করে এ চিত্র তুলে ধরেছেন বিআইবিএমের গবেষকরা। ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেসরকারি খাতের ২০টি, রাষ্ট্রীয়ও ২টি, বিশেষায়িত ২টি এবং ৩টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘অনলাইন ব্যাংকিংয়ের দুর্যোগ পুনরুদ্বার ব্যবস্থাপনা: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শাহ মো. আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক সিহাব উদ্দীন খানসহ চার সদস্যের একটি গবেষণা দল।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনলাইন ব্যাংকিংয়ে ১১টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার মধ্যে তথ্যের সঠিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে ৬০ শতাংশ ব্যাংকে। দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে ৮০ শতাংশ ব্যাংকে। আইটি ও সাধারণ ব্যাংকিং বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধনের অভাব রয়েছে ৮০ শতাংশ ব্যাংকে। দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনায় তহবিলের অভাব রয়েছে ৪৫ শতাংশ ব্যাংকে। এ ছাড়া ৪০ শতাংশ ব্যাংকের ডাটা সুরক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থা (ব্যাক আপ) নেই। এজন্য প্রযুক্তিবিভাগ সঠিক সেবা দিতে পারবে কি-না তা নিয়ে ৭৫ শতাংশ ব্যাংক প্রতিদিন ভয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৪৫ শতাংশ ব্যাংকে দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনায় তহবিল নেই। এ ছাড়া ৭০ শতাংশ ব্যাংকে অনলাইন মেশিন সরবরাহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিয়োজিত দক্ষ ও অভিজ্ঞ ঠিকাদারেরও অভাব রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি গভর্নর রাজী হাসান বলেন, দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ঘটলে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুরক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করেছে। গ্রাহক ও ব্যাংকের স্বার্থে গাইডলাইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।