২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:১০

পুলিশ দম্পতির মেয়েকে গণধর্ষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বাবা মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। আর মা মধ্যপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত। আর সেই পরিবারের মেয়ে চার পুরুষ দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হলেন। এবেলার খবরে বলা হয়েছে, ভোপাল শহরের প্রাণকেন্দ্রে ফ্লাইওভারের নিচে ১৯ বছরের তরুণীকে চারজন পুরুষ তিন ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর পুলিশের কাছে গেলে সব শুনে জিআরপি অফিসার বললেন, ‘এ তো সাজানো ফিল্মি গপ্প।’

বিজেপি শাসিত শিবরাজ সিংহ চহ্বনের রাজ্যে ১৯ বছরের মেয়েটার উপরে নির্যাতনের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে সরকার এমপি নগর পুলিশ স্টেশনের এসআই আর এন টেকামকে সাসপেন্ড করেছে। এফআইআর নিতে অস্বীকার করার অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। জানা যায়, মঙ্গলবার ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিজের শহর থেকে এক ঘণ্টার পথ পার করে ভোপালে আসেন ওই তরুণী।

সেদিন কোচিং ক্লাস শেষ করে প্রতিদিনের মতো রেললাইন ধরে হেঁটে হাবিবগঞ্জ স্টেশনে যাচ্ছিল। তখন সময় আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটা। গোলুবিহারী চাধার নামে এক ব্যক্তি তার হাত ধরে টানে। তিনি নিজ মেয়েকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত কিছুদিন আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ঘটনাস্থল যেখানে থেকে হাবিবগঞ্জ স্টেশন মাত্র ১০০ মিটার আর আরপিএফ পোস্টের দূরত্ব খুব ৫০ মিটার হবে। সেখানে গোদুবিহারীসহ তিনজনের সঙ্গে মেয়েটির দীর্ঘ সময় ধস্তাধস্তি চলে। পরে একটি নালার পাশে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় মেয়েটি। এর মধ্যেও মেয়েটি দু’জনকে পাথরের আঘাত করে। কিন্তু, ধর্ষকদের থামাতে পারেননি। পাল্টা পাথরের আঘাতে সে লুটিয়ে পড়েন।

পরে হাত-পা বেঁধে চলতে থাকে নির্যাতন। মাঝে মাঝে সিগারেটের ব্রেক নিয়ে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত চলতে থাকে নির্যাতন। অবশেষে কানের দুল, মোবাইল ফোন এবং ঘড়ি দিয়ে ধর্ষকদের কাছ থেকে মুক্তি পান মেয়েটি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অভিযোগ নিতে অনীহা প্রকাশ করলেও তার পরিচয় জানার পর গোলুবিহারী এবং তার ভায়রা অমরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতার পুলিশ মা আক্ষেপ করে বলেন, এটা আমার জীবনের সব থেকে খারাপ অভিজ্ঞতা। আমার মেয়ের গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে বুঝলাম সাধারণ মানুষকে কেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :নভেম্বর ৪, ২০১৭ ১:৪০ অপরাহ্ণ