নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে টানা অষ্টমবারের মত দেশব্যাপী জাতীয় আয়কর মেলা শুরু হচ্ছে। ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহর, সকল জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত হবে এবারে মেলা । এরমধ্যে রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে এক সপ্তাহ, জেলা শহরে চার দিন, ৩২টি উপজেলা শহরে দুই দিন এবং ৭১টি উপজেলায় একদিন (ভ্রাম্যমাণ) এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আয়কর মেলা নিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, আয়কর মেলার মাধ্যমে চলমান রাজস্ব সংস্কৃতি আরো সুসংহত হবে। গত অর্থবছরে যেভাবে ই-টিআইএনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এবার আমরা বেশি আয়কর রিটার্ন আশা করছি। এটা দিন দিন বাড়বে। তিনি বলেন, আয়কর প্রদানে আমাদের তরুণ সমাজ আরো এগিয়ে আসবে। যারা কর জালের বাইরে আছেন তারাও এগিয়ে আসবেন।
নজিবুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ৩১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এবারে আমরা আরো ৫ লাখ টিআইএন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি। এছাড়া অনলাইন রিটার্ন ও ই-পেমেন্টকে জনপ্রিয় করার চেস্টা করছি। সবমিলিয়ে রাজস্বের অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকবে আয়কর মেলায়।
জানা গেছে, এবারও রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবনে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় নতুন করে আয়করের খাতায় নিবন্ধিত হতে অনলাইনে কর সনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন নেওয়া যাবে। এছাড়া করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া ও প্রযোজ্য কর পরিশোধ করতে পারবেন।
মেলায় আয়কর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সব ধরণের আয়কর সেবা নেওয়া যাবে। বড় অঙ্কের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে আয়কর মেলায় থাকছে কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা। রিটার্ন দাখিলের জন্য থাকবে ই-পেমেন্টের পৃথক বুথ। থাকছে ব্যাংকিং সুবিধাও। এ ছাড়া মেলায় সংশ্লিষ্ট করদাতারা রিটার্ন জমা দেওয়ার পাশাপাশি কর সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উওর ও তথ্য পাবেন।
২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলা শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে আয়কর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৯ লাখ ২৯ হাজার ব্যক্তি, যা তার আগেই বছরের চাইতে ১ লাখ ৭২ হাজার বেশি। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৪ হাজার করদাতা রিটার্ন জমা দেওয়ার বিপরীতে ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন।মেলায় নতুন ই-টিআইএন নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৫৩ জন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ