২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৩৯

লড়াইয়ের স্পিরিটেরই অভাব ছিল : সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক:

বিদেশের মাটিতে ভালো করতে হলে এখনো যে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেটিই যেন আরেকবার প্রমাণ হলো। এই তো এক সিরিজ আগেই অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারালো বাংলাদেশ। হ্যা, অস্ট্রেলিয়াকে। সেটা স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া; স্টিভ ওয়াহ বা রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া নয় ঠিক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া তো। অথচ সেই ম্যাচে জয় ও সিরিজ ড্রয়ের তাজা স্মৃতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েও ভরাডুবি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে ৭ ম্যাচে হার। বরং সাকিব আল হাসান বললেন চূড়ান্ত সত্যি কথাটাই। লড়াইয়ের স্পিরিটেরই অভাব ছিল বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর কখনো সুখকর ছিল না। ২০০২ ও ২০০৮ সালে এই দুই বার দেশটিতে দ্বিপাক্ষিকি সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। তবে এবার আশাটা একটু বড়ই ছিল। অন্তত আগের মতো ভরাডুবি হবে না এটাই ছিল সবার বিশ্বাস। আর যাই হোক বাংলাদেশ দল যে এখন বদলে যাওয়া দল। কিন্তু ঘটলো ঠিক ৯ বছর আগের ঘটানই। বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের তাই সরল স্বীকারোক্তি, ‘দেশের বাইরে অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমরা পারিনি। আমার মনে হয় এটা আমাদের হতাশার দিক। গত দুই তিন বছর দেশে এত ভালো করে আসছি যে আমরা আশা করেছিলাম অন্তত ভালো কিছু করব।’

ভালো কিছু তো পারেই নি বাংলাদেশ। বরং হারের ধরনগুলো ছিল পিড়া দেওয়ার মতো। প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হার দিয়ে সফর শুরুর পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টে হার ইনিংস ও ২৫৪ রানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হার যথাক্রমে ১০ উইকেট, ১০৪ রান ও ২০০ রানে। আর প্রথম টি-টুয়েন্টিতে টাইগাররা হেরেছিল ২০ রানে। ৮৩ রানে শেষ টি-টুয়েন্টিতে হেরে বাংলাদেশের ব্যর্থতার চক্র পূরণ। সবগুলো হারকে সামনে এনে সাকিবের অভিমত, ‘অবশ্যই হারতে পারি। খেলার মধ্যে হার জিত থাকবে। কিন্তু লড়াইয়ের যে স্পিরিট আমাদের মধ্যে থাকে পুরো সফরেই তার অভাব ছিল। হারের কিংবা খারাপ করার প্রবণতা থেকে আমরা আর বেরই হতে পারিনি কিংবা ঘুরে দাঁড়াতেও পারিনি।’

দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট মানেই পেস বোলারদের স্বর্গ। বাংলাদেশকে তাই প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারদের সামনে বড় পরীক্ষা দিতে হবে এমনটাই ধারনা ছিল। সফল হতে হলে বাংলাদেশের পেসারদেরও রাখতে হবে ভূমীকা। কিন্তু টাইগারদের এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সবগুলো ম্যাচেই উইকেট ছিল পুরো ফ্ল্যাট উইকেট। এক কথায় ব্যাটিং স্বর্গ। কিন্তু সেখানেও ভালো না করতে পেরে সাকিবের কণ্ঠে চূড়ান্ত হতাশা ‘এটা ঠিক দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ছিল না। খুবই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। বিশেষ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিগুলোতে। টিভিতে দেখে মনে হয়েছে টেস্টেও ভালো উইকেট ছিল। অনেক জিনিসই আমাদের পক্ষে ছিল। কিন্তু তারপরও আমরা ভালো করতে পারিনি।’

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :অক্টোবর ৩০, ২০১৭ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ